সাদ্দাম হোসেন ও ইরাক সম্পর্কে মারাত্মক ভুল করেছিল আমেরিকা। সম্প্রতি
এমনই জানিয়েছেন দেশটির প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র প্রাক্তন বিশ্লেষক
জন নিক্সন, যিনি সাদ্দামকে একদা সরাসরি জেরা করেছিলেন।
ইরাকের ক্ষমতাচ্যুত একনায়ক সাদ্দাম হুসেনকে তার জন্মস্থান তিকরিতের কাছে
ভূগর্ভস্থ ডেরা থেকে আটক করে মার্কিন বাহিনী। এর পরে ইরাকের অন্তর্বর্তী
সরকারের উদ্যোগে বিশেষ ট্রাইবুনালে তার বিচার হয়। গণহত্যা-সহ বিভিন্ন
মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করার পরে আদালতের নির্দেশে ফাঁসি দেয়া হয়। আটক
সাদ্দামকে সেই সময় লাগাতার জেরা করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।
প্রশ্নত্তোর পর্বে সংস্থার পক্ষ থেকে সাদ্দামের মুখোমুখি হয়েছিলেন সিআইএ-র
প্রাক্তন বিশ্লেষক জন নিক্সন। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, ইরাকের মসনদ হারানো
প্রাক্তন শাসক সম্পর্কে আগাগোড়া ভুল ধারণা পোষণ করেছিল ওয়াশিংটন।
নিক্সনের দাবি, রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ ও ব্যবহার করা নিয়ে সাদ্দাম হোসেন সম্পর্কে আমেরিকার বিশ্বাস ভিত্তিহীন ছিল। তিনি জানিয়েছেন, জেরায় সাদ্দামকে প্রশ্ন করা হয় যে, সৌদি আরবে বহাল মার্কিন বাহিনীর উপর তিনি রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করার কথা চিন্তা করেছিলেন কি না। জবাবে ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জানান, 'আমরা কখনো গণহত্যা সংগঠিত করার অস্ত্র নিয়ে আলোচনা করিনি। আলোচনায় সেই প্রসঙ্গ ওঠেনি। গোটা বিশ্বের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করা? কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে এই চিন্তা করা সম্ভব? আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা না হলে কী কারণে তা প্রয়োগ করার কথা ভাবব?'
উল্লেখ্য, ইরাকের হাতে রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে এবং তা বিশ্বের উপর প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, এই অভিযোগের ভিত্তিতেই ২০০৩ সালে সাদ্দামের দেশে আক্রমণ হেনেছিল আমেরিকা ও ব্রিটেন। নিক্সন জানিয়েছেন, জেরায় সাদ্দাম দাবি করেন, 'শোনার ও বোঝার অভাবেই' এই চূড়ান্ত ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হোয়াইটহাউস।
এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের তীব্র সমালোচনবা করেছেন নিক্সন। তার মতে, বুশ শুধুমাত্র সেই সমস্ত কথাই শুনতে চাইতেন যা তিনি বিশ্বাস করতে পছন্দ করতেন। এমনকি অনেক তল্লাশি করেও ইরাকের তথাকথিত অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ না পেয়ে বুশ যে তাই নিয়ে নানান কুরুচিকর রসিকতায় মুখর হতেন, তা জানাতেও তিনি ভোলেননি। সিআইএ-র কাঁধে যাবতীয় ব্যর্থতার দায় চাপিয়ে না কি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সংস্থার গোয়েন্দা রিপোর্টকে 'অনুমান ভিত্তিক' বলে মন্তব্য করেছিলেন।
শুধু অস্ত্রভাণ্ডার সম্পর্কে ভুলই নয়, নিক্সনের মতে ইরাক সম্পর্কে আদ্যপান্ত ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়েছিল আমেরিকা। জেরা করার সময় তাকে সাদ্দাম হুসেন জানিয়েছিলেন, 'তোমরা ব্যর্থ হবে। বুঝতে পারবে, ইরাককে শাসন করা আদৌ সহজ নয়।'
২০০৬ সালে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেনকে। কিন্তু তার ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে ফলেছে। তাকে গদি থেকে সরানোর পরেই প্রবল হিংসা ও অরাজকতার শিকার হয় ইরাক, যার জেরে প্রায় ২ লাখ মানুষের প্রাণহানি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে ১৩ বছর পরেও ৫০০০ মার্কিন সেনা সে দেশে মোতায়েন রাখতে হয়। একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের তকমা কপালে সেঁটে উপসাগর কূলে আজও ধুঁকছে সাদ্দামের জন্মভূমি।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgq3ScjiDLMiOXTHBbyrDuuJkQeh7y1o3IIrWpy5sGEKDcJ0Vu0goAh2YkDv7evN0YxSLOCw4OmA6F6fa0wmPEKi4MpeJRh_BG-5AUBzQeoF5Q8KE52vCtm6N6qyX9Br5oA9vqSrsS2jAnt/s640/Screenshot_1b.jpg)
নিক্সনের দাবি, রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ ও ব্যবহার করা নিয়ে সাদ্দাম হোসেন সম্পর্কে আমেরিকার বিশ্বাস ভিত্তিহীন ছিল। তিনি জানিয়েছেন, জেরায় সাদ্দামকে প্রশ্ন করা হয় যে, সৌদি আরবে বহাল মার্কিন বাহিনীর উপর তিনি রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করার কথা চিন্তা করেছিলেন কি না। জবাবে ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জানান, 'আমরা কখনো গণহত্যা সংগঠিত করার অস্ত্র নিয়ে আলোচনা করিনি। আলোচনায় সেই প্রসঙ্গ ওঠেনি। গোটা বিশ্বের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করা? কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে এই চিন্তা করা সম্ভব? আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা না হলে কী কারণে তা প্রয়োগ করার কথা ভাবব?'
উল্লেখ্য, ইরাকের হাতে রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে এবং তা বিশ্বের উপর প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, এই অভিযোগের ভিত্তিতেই ২০০৩ সালে সাদ্দামের দেশে আক্রমণ হেনেছিল আমেরিকা ও ব্রিটেন। নিক্সন জানিয়েছেন, জেরায় সাদ্দাম দাবি করেন, 'শোনার ও বোঝার অভাবেই' এই চূড়ান্ত ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হোয়াইটহাউস।
এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের তীব্র সমালোচনবা করেছেন নিক্সন। তার মতে, বুশ শুধুমাত্র সেই সমস্ত কথাই শুনতে চাইতেন যা তিনি বিশ্বাস করতে পছন্দ করতেন। এমনকি অনেক তল্লাশি করেও ইরাকের তথাকথিত অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ না পেয়ে বুশ যে তাই নিয়ে নানান কুরুচিকর রসিকতায় মুখর হতেন, তা জানাতেও তিনি ভোলেননি। সিআইএ-র কাঁধে যাবতীয় ব্যর্থতার দায় চাপিয়ে না কি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সংস্থার গোয়েন্দা রিপোর্টকে 'অনুমান ভিত্তিক' বলে মন্তব্য করেছিলেন।
শুধু অস্ত্রভাণ্ডার সম্পর্কে ভুলই নয়, নিক্সনের মতে ইরাক সম্পর্কে আদ্যপান্ত ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়েছিল আমেরিকা। জেরা করার সময় তাকে সাদ্দাম হুসেন জানিয়েছিলেন, 'তোমরা ব্যর্থ হবে। বুঝতে পারবে, ইরাককে শাসন করা আদৌ সহজ নয়।'
২০০৬ সালে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেনকে। কিন্তু তার ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে ফলেছে। তাকে গদি থেকে সরানোর পরেই প্রবল হিংসা ও অরাজকতার শিকার হয় ইরাক, যার জেরে প্রায় ২ লাখ মানুষের প্রাণহানি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে ১৩ বছর পরেও ৫০০০ মার্কিন সেনা সে দেশে মোতায়েন রাখতে হয়। একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের তকমা কপালে সেঁটে উপসাগর কূলে আজও ধুঁকছে সাদ্দামের জন্মভূমি।
Post a Comment Blogger Facebook